নিউজ ডেস্ক : শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলায় কারিতাসের মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ীত্বশীল আর্থ-সামাজিক ক্ষমতায়ন (সীডস) কর্মসূচির সহযোগিতায় মেজপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যলয় মাঠে ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৫ উদযাপন করা হয় ।
৮ মার্চ, শনিবার সকালে ‘’অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন, নারী ও কন্যার উন্নয়ন’’ – এই মুলসুরকে কেন্দ্র করে বগুলাকান্দি গোলাপ দলের সভাপতি সানোয়ারা বেগমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোছাঃ রাবেয়া বেগম, মহিলা মেম্বার(৭,৮,৯নং ওয়ার্ড)সিঙ্গাবরুনা ইউনিয়ন, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ ইস্রাফিল মিয়া, প্রধান শিক্ষক মেজপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মো: খররুম ইউপি সদস্য, ৭ নং ওয়ার্ড, মোছা: জুলেখা বেগম, আন্জুয়ারা বেগম, মনুজা বেগম প্রমুখ ।
আলোচনা সভার পর বাল্যবিবাহ বিরোধী নাটিকা ও নারীর অধিকার বিষয়ক নাটিকাসহ সাংকৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় । এরআগে সকালে এক বর্নাঢ্য র্যালী মেজপাড়া সরকারী প্রা: বিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে বগুলাকান্দীর প্রধান সড়ক পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয় ।আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৫ উদযাপনে ১৭০ জন এসআরজি সদস্য, শিক্ষক, কিশোর-কিশোরী, গ্রামবাসী অংশগ্রহণ করে ।
অপরদিকে বিকালে পিরিজপুর গ্রামে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয় ।
এই অনুষ্ঠানের শুরুতে র্যালী ও মানববন্ধন করা হয় । আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পিরিজপুর রজনীগন্ধা দলের সভানেত্রী আন্জু বেগম । প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোছাঃ সাহারা বেগম, মহিলা মেম্বার(১,২,৩ নং ওয়ার্ড) কাকিলাকুড়া ইউনিয়ন, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ শামীম আহমেদ, ২নং ওয়ার্ড মেম্বার, মোছাঃ সুবেদা বেগম, সভাপতি, কুতুবপুর-খামারপাড়া আশার আলো সিবিও এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ । অনুষ্ঠানে প্রায় ১৪৮ জন এসআরজি সদস্য, শিক্ষক, কিশোর-কিশোরী, গ্রামবাসী অংশগ্রহণ করে ।
উল্লেখ্য ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মজুরিবৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধরা।বাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকেরা। সেই মিছিলে চলে সরকার লেঠেল বাহিনীর দমন-পীড়ন। ১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হলো। ক্লারা ছিলেন জার্মান রাজনীতিবিদ; জার্মান কমিউনিস্ট পার্টির স্থপতিদের একজন। এরপর ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বৎসর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। সিদ্ধান্ত হয়ঃ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে নারীদের সম-অধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে। দিবসটি পালনে এগিয়ে আসে বিভিন্ন দেশের সমাজতন্ত্রীরা। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হতে লাগল । বাংলাদেশেও ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতার লাভের পূর্ব থেকেই এই দিবসটি পালিত হতে শুরু করে। অতঃপর ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। এরপর থেকে সারা পৃথিবী জুড়েই পালিত হচ্ছে দিনটি নারীর সমঅধিকার আদায়ের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করার অভীপ্সা নিয়ে। সারা বিশ্বের সকল দেশে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস।