পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ উদ্যোগে পরিবেশ অধিদফতর সারাদেশে ২ জানুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে। এই সময়ে ৫৯৮টি অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে কালো ধোঁয়া নির্গমণকারী যানবাহন, বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটা, স্টিল মিল, শব্দ দূষণ, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য নির্গমণ, সীসা/ব্যাটারি রিসাইক্লিং কারখানা, জলাশয় ভরাট, টায়ার পাইরোলাইসিস, চারকোল কারখানা ও খোলা অবস্থায় নির্মাণ সামগ্রী রাখার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই অভিযানে ১ হাজার ৩৬৩টি মামলা হয়। ১৯ কোটি ৭৯ লাখ ৪৭ হাজার ৩শ’ টাকা জরিমানা করা হয়। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এছাড়া, ৩০৫টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। ১৫৭টি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। ৬০টি ভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস, ৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৬ ট্রাক সীসা/ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানা বন্ধ করা হয়।
এদিকে, রোববার বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২২ অনুসারে ঢাকার হাতিরঝিল, মগবাজার, আদাবর, আফতাবনগর, বাড্ডা ও ধানমন্ডি এলাকায় ৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালানো হয়। এতে ১১টি মামলায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই দিনে নারায়ণগঞ্জে রেডিমিক্স কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে ৩টি মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, নীলফামারী, ঝিনাইদহ, ভোলা, সিরাজগঞ্জ, মেহেরপুর, মৌলভীবাজার, পিরোজপুর, গাইবান্ধা, শরীয়তপুর, বরগুনা, ঠাকুরগাঁও, বগুড়া ও শেরপুর জেলায় ২০টি অভিযান চালানো হয়।
এসময় ১৯টি মামলায় ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ২২টি ইটভাটা সম্পূর্ণ বন্ধ ও ৩টি বন্ধের কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
– যুগান্তর